বুধবার | ১৯শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাদক বিক্রি বন্ধে ফেসবুক–টিকটকের সঙ্গে বসছে ট্রাম্পের প্রতিনিধিদল

অনলাইনে মাদক বিক্রি প্রতিরোধে প্রযুক্তি দুনিয়ার শীর্ষ পাঁচ প্রতিষ্ঠান—গুগল, মাইক্রোসফট, মেটা, স্ন্যাপ ও টিকটকের সঙ্গে বৈঠকে বসার পরিকল্পনা করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্রানজিশন টিম। চলতি মাঝামাঝি এ বৈঠক করতে চায় তারা। সোমবার দ্য ইনফরমেশনের বরাতে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।

প্রতিবেদনে জানা যায়, বৃহস্পতিবার গুগল, মাইক্রোসফট, মেটা, স্ন্যাপ ও টিকটকের কাছে ই–মেইলের মাধ্যমে একটি ফোনালাপের আমন্ত্রণ জানিয়েছে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের মাদক নীতির প্রধান জিম ক্যারলের একজন প্রতিনিধি এবং ট্রানজিশন টিম। অনলাইনে মাদক বিক্রি নিয়ন্ত্রণের বাধাগুলো নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর মতামত শুনতে চায় ট্রানজিশন টিম। পাশাপাশি তাদের অগ্রাধিকারগুলো জানতে চায় তারা।

এ বিষয়ে গুগল, মাইক্রোসফট, মেটা, স্ন্যাপ, টিকটক এবং ট্রাম্পের ট্রানজিশন টিমের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

মেক্সিকো ও কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিলের মতো মাদক আসা বন্ধ করতে তৎপর ট্রাম্প। তিনি মেক্সিকোকে এ বিষয়ে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। মাদক পাচার ও অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যের ওপর বড় ধরনের শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।

গত নভেম্বরে ট্রুথ সোশ্যাল একটি পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের পরই একটি নির্বাহী আদেশে মেক্সিকো ও কানাডা থেকে আসা সব পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন তিনি। চীনের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে, যতক্ষণ না তারা সিনথেটিক অপিয়ড ফেন্টানিল পাচার বন্ধ করবে।

তিনি আরও বলেন, মেক্সিকো ও কানাডা ফেন্টানিলের মতো মাদকগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলে তাদের ওপর থেকে বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। ফেন্টানিলের ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বড় আকারে প্রচারণা চালানোর কথাও বলেন তিনি।

ফেন্টানিল নামে এই ড্রাগ সাধারণত চিকিৎসায় ব্যথা উপশমকারী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর শক্তি মরফিন বা হেরোইনের চেয়ে ৫০ থেকে ১০০ গুণ বেশি এবং এর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার বা অপব্যবহার অত্যন্ত বিপজ্জনক। গত বছর ফেন্টানিলের অতিরিক্ত ব্যবহার বা ওভারডোজে প্রায় ৭৫ হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন। এ জন্য ফেন্টানিলের কাঁচামাল তৈরি বন্ধ করতে বাইডেন প্রশাসন বেইজিংকে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল।

এর আগে মার্চ মাসে ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে মাদক বিক্রি থেকে মেটা কোনো মুনাফা পাচ্ছে কি না বা এ ক্ষেত্রে মেটার কোনো ভূমিকা রয়েছে কি না—এটি খতিয়ে দেখেছিলেন মার্কিন প্রসিকিউটররা।

সে সময় মেটার এক মুখপাত্র ওয়ালস্ট্রিট জার্নালকে বলেন, ‘অবৈধ মাদক বিক্রি আমাদের নীতির বিরুদ্ধে। পরিষেবাগুলো থেকে এসব খুঁজে বের করে সরিয়ে ফেলার জন্য কাজ করি আমরা।’

গত জানুয়ারিতে ফেন্টানিলসহ বিভিন্ন ভেজাল ওষুধ তৈরির ডিভাইস কেনাবেচা বন্ধে পর্যাপ্ত নিয়মনীতি না থাকায় ই–কমার্স সাইট ইবে–কে ৫৯ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া মাদক বিক্রি বন্ধে তাদের নীতিমালা আরও উন্নত করতে রাজি হয় তারা।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Print